স্টাফ রিপোর্টার: নীলফামারীর ডিমলায় ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষন চেষ্টা মামলায় প্রধান আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
বুধবার (০১ জুন) নীলফামারী নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ মাহাবুবুর রহমান এই আদেশ প্রদান করেন।
অভিযুক্ত উপজেলার নাউতারা ইউপি চেয়ারম্যান আশিক ইমতিয়াজ মোর্শেদ মনি কে এক হাজার টাকা বন্ডে স্বাক্ষর নিয়ে জামিন মঞ্জুর করা হলেও অভিযুক্ত প্রধান আসামি নাউতারা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ( প্রাইভেট) অধ্যক্ষ মাহামুদুল হাসান নয়নকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য যে, গত ৩ এপ্রিল ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন থেকে অনৈতিক প্রস্তাব, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে উপজেলার নাউতরা ইউপি চেয়ারম্যান আশিক ইমতিয়াজ মোর্শেদ মনি ও তার বড় ভাই নাউতরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান) অধ্যক্ষ মাহামুদুল হাসান নয়নকে আসামি করে ডিমলা থানায় মামলা হয়।
যার মামলা নং জি আর ৯০/২২ । সরকারিভাবে গত ২২শে এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ থাকলেও নাউতরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন অজুহাতে তার প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখেন।
গত ২৮শে এপ্রিল ক্লাস পরীক্ষা চলাকালীন সময় ৫ম শ্রেণির ঐ ছাত্রীর পরীক্ষার রুমে গিয়ে অধ্যক্ষ মাহামুদুল হাসান নয়ন ছাত্রীটি হিজাব পরে আসলে হিজাবের প্রতি কুটক্তি করে হিজাব খোলার নামে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এতে ছাত্রীটি কান্নায় ভেঙে পড়লে পরীক্ষা শেষে তাকে অফিস রুমে নিয়ে এসে অধ্যক্ষ নয়ন ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এ সময় সে কান্না করলে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেন অধ্যক্ষ। ছাত্রীটির বাবা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চাকরি করেন। গত ৩০ এপ্রিল ছাত্রীটির বাবা বাড়ি আসলে ছাত্রীটির মা তার বাবাকে বিষয়টি খুলে বলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।